, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


‘সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা’

  • আপলোড সময় : ২৩-০৯-২০২৪ ০৭:২৩:৩২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৯-২০২৪ ০৭:২৩:৩২ অপরাহ্ন
‘সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা’
এবার সরকারি টাকায় হজ করা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। এটাকে এক ধরনের বিলাসিতা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা। প্রতি বছর অনেক ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও সরকারের পছন্দের মানুষ রাষ্ট্রের টাকায় হজে যান। এটা শরয়ী এবং নৈতিক কোনো দিক থেকেই সিদ্ধ নয়।’

তিনি বলেন, ‘এতে একদিকে যেমন দেশের টাকার অসদ্ব্যবহার হয়, পাশাপাশি এইসব লোকদের পেছনে হজ অফিসকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় এবং ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ফলে সাধারণ হাজিরা তাদের যথাযথ সেবা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।’

এদিকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারি টাকা মানে জনগণের টাকা। জনগণ তো কাউকে হজের জন্য টাকা দেয় না। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জনগণের টাকায় হজ করছেন, এর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। আছে প্রচ্ছন্ন লাঞ্ছনা।’

পরিশেষে আহমাদুল্লাহ বলেন, অতএব, এই প্রথা চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, সরকারের তরফ থেকে নিয়োজিত ডাক্তার, হজ গাইড ও অন্যান্য হজ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কথা ভিন্ন।

পোস্টের কমেন্টে তিনি বলেছেন, সরকারি হাজিদের সেবায় যারা সৌদি যান, তাদের বেশির ভাগই নিজের হজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটান। সরকারি হাজিদের অবস্থা থাকে অনেকটা মা বাপ ছাড়া সন্তানের মতো। তাদের দেখার যেন কেউ থাকে না।

সরকারি হাজিদের অসহায়ত্ব ও দুরবস্থা দেখে প্রতিবছরই কষ্ট হয়। এ অবস্থারও অবসান হওয়া দরকার। হাজিদের সার্ভিস দেওয়ার নাম করে সেখানে হজ করতে যাওয়াও অনুচিত, যদি সেই হজ পালনের ফলে হাজিদের সেবাদানে ত্রুটি হয়। সুতরাং ‘পরিচিত’ কোটায় সেবার জন্য হজে যাওয়াও বন্ধ হওয়া উচিত।
সর্বশেষ সংবাদ